নিরীক্ষার অসুবিধা বর্ণনা কর।
আজও নিরীক্ষার বহুবিধ সুবিধার পাশাপাশি কতকগুলি অসুবিধা রয়েছে। নিম্নে এর অসুবিধাগুলো বর্ণনা করা হলোঃ
 |
| নিরীক্ষার অসুবিধা বর্ণনা কর |
১। নির্ভুল তথ্য প্রকাশিত নাও হতে পারে:
নিরীক্ষার মাধ্যমে কারবারের নির্ভুল তথ্য প্রকাশিত নাও হতে পারে। হিসাব পরীক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও যদি ভবিষ্যতে ভুল বা জুয়াচুরি ধরা পড়ে তথাপি নিরীক্ষককে সব সময় দায়ী করা যায় না। নিরীক্ষক যদি তার কর্তব্য যথাযথ পালন করে, ভুল ও জুয়াচুরি না ধরতে পারেন, তার জন্য তাকে দায়ী করা যায় না। ফলে, নিরীক্ষিত হিসাব যে একবার নির্মূল তা বলা যায় না।
২। প্রকৃত তথ্যের অস্পষ্টতা:
অনেক সময় হিসাব বহিতে লিখিত জাবেদা হতে কোন বিষয় স্পষ্টভাবে পরিস্ফুট নাও হতে পারে। এক্ষেত্রে নিরীক্ষককে প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিকট হতে ব্যাখ্যা গ্রহণ করতে হয়। এমতাবস্থায় ঐ সকল ব্যক্তিগণ সম্পূর্ণ তথ্য প্রকাশ না করলে বা না করতে চাইলে নিরীক্ষক ও লেনদেন সম্পর্কে প্রকৃত তথ্য জ্ঞাত হতে পারে না।
৩। সঠিক নিরীক্ষা সম্ভব নয়:
নিরীক্ষক প্রতিষ্ঠানের বহিরাগত একজন ব্যক্তি এবং নিরীক্ষক শিল্প বিশারদ নন। তাই প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়, সম্পত্তি দায়ের যথাযথ বিশ্লেষণ করা বাস্তবিক পক্ষে অসম্ভব। সে কারণে সঠিক নিরীক্ষা করা সম্ভব নয়।
Disclaimer: We do not guarantee that the information of this page is 100% accurate and up to date.
