নিরীক্ষকের স্বাধীনতা বলতে কি বুঝ?
নিরীক্ষা প্রতিবেদন তৈরি করা এবং যথার্থ কর্তৃপক্ষের নিকট পেশ করা নিরীক্ষা কাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও শেষ ধাপ। নিরীক্ষক তার নিয়োগকারীর প্রতিনিধি হিসাবে নিরীক্ষার কাজ শেষ করে প্রতিবেদন তৈরি করে তা মালিকের নিকট বা ব্যবস্থাপনা নিম কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন করে।
এক্ষেত্রে নিরীক্ষক স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে তার মতামত উপস্থাপন করতে পারবেন। সে কারো দ্বারা প্রভাবিত হবে না। প্রতিষ্ঠানের আর্থিক বিবরণীতে কোন অসংগতি পেলে তা স্পষ্টভাবে প্রতিবেদনে তুলে ধরবেন। এটা আর এক ধরনের স্বাধীনতা।
নিরীক্ষককে জ্ঞান, বিশ্বাস ও কর্মে অবশ্যই সৎ ও স্বাধীন থাকতে হবে। অন্যথায় তিনি কোনভাবেই সত্য ও সঠিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করতে পারবেন না। তিনি তার পেশাগত কার্যসম্পাদনে সর্বদাই সরলতা, সততা, নিষ্ঠা ও দৃঢ়তার পরিচয় দিবেন।
তিনি সব সময় নিরপেক্ষ ও অকুতোভয় থাকবেন এবং নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে বিরোধী কোন কাজে পক্ষপাতিত্ব করবেন না। তিনি সর্বদা স্বাধীন নিরপেক্ষ ও ন্যায়পরায়ণ হবেন।
প্রতিবেদনের ব্যাপারে তিনি অভিজ্ঞতা, পেশাগত জ্ঞান, বুদ্ধিমত্তা, যুক্তি ও প্রমাণাদির উপর নির্ভর করে নিরপেক্ষ হবেন। কারো প্ররোচনায় বা চাপে কোন প্রকার নত স্বীকার করবেন না। তিনি বাস্তবতার নিরীক্ষে প্রতিবেদন প্রস্তুত করবেন। সুতরাং উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, একজন নিরীক্ষক নিরীক্ষা কাজ শুরু থেকে প্রতিবেদন প্রস্তুত ও প্রতিবেদন পেশ পর্যন্ত সৎ, নিষ্ঠাবান, দৃঢ় ও স্বাধীন থাকবেন।
Disclaimer: We do not guarantee that the information of this page is 100% accurate and up to date.