বৈশাখী পূর্ণিমা গাথা
বৈশাখী পূর্ণিমা আজি অতি শুভক্ষণ,
ভব ভরা চন্দ্র আলো সুন্দর শোভন।
থোপা থোপা জোনাকিরা তরু শাখা ধরি,
ঝিকি ঝিকি করিতেছে চন্দ্র আলো স্মরি।
শুভদিনে মায়াদেবীর ইচ্ছায় হইল,
পিতৃরাজ্যে যাবার কথা প্রকাশ করিল।
মায়াদেবী পিতৃরাজ্যে যাবার সময়,
লুম্বিনী বনের মাঝে উপনীত হয়।
এমন পূর্ণিমা দিনে লুম্বিনী কাননে,
বোধিসত্ত্ব জন্ম নিল অতি শুভ দিনে।
জন্ম মাত্র বসুন্ধরা কাঁপিয়া উঠিল,
স্বর্গে থাকি দেবগণ সাধুবাদ দিল।
সপ্ত পদে সপ্ত পদ্ম ফুটিয়া উঠিল,
পাপী তাপী ত্রাণ কর্তা জগতে আসিল।
শেষ পদ্মে বুদ্ধাঙ্কুর হস্ত এক তুলি,
পৃথিবীতে জ্যেষ্ঠ আমি শ্রেষ্ঠ আমি বলি,
নগর ভ্রমিতে গৌতম বাহির হইল,
চারি দিনে চারি দৃশ্য দেখিতে পাইল।
দৃশ্য দেখে সংসারেতে থাকিবনা আর,
দুঃখ থেকে মুক্তি লাভ করিব এবার।
এমন পূর্ণিমা দিনে নৈরঞ্জনা তীরে,
সুজাতার পায়সান্ন খেয়ে ধীরে ধীরে।
বোধিমূলে গয়াধামে বসি মায়া ধন,
সারারাত্রি মার সাথে করি ঘোর রণ।
সর্ব তৃষ্ণা বিনাশিয়া লভি বোধি জ্ঞান,
বুদ্ধ নামে খ্যাত হল জগত প্রধান।
ভগবান নব ধর্ম করিয়া প্রচার,
দেব নর ত্রিলোকের করি উপকার।
অশীতি বৎসর পূর্ণে করুনা নিকর,
কুশীনারা শালবনে গিয়ে অতঃপর।
মনোরম চন্দ্র আলো আকাশের তলে,
বৈশাখী পূর্ণিমা দিনে নর দেব দলে।
কাঁদাইয়া পরিনির্বাণ লভে বুদ্ধ ধন,
জ্ঞানদীপ নির্বাপনে কাঁদিল ভুবন।
ত্রিস্মৃতি জড়িত এই শুভ মহা দিনে,
শ্রদ্ধাভরে সবে মিলি কায়বাক্য মনে।
ওহে বুদ্ধ তথাগত চরনে তোমার,
অসংখ্য প্রণাম লও শত নমস্কার।
Disclaimer: We do not guarantee that the information of this page is 100% accurate and up to date.