ম্যাচুরিটি নিয়ে স্ট্যাটাস
আজকের আর্টিকেলে আমরা ম্যাচুরিটি নিয়ে স্ট্যাটাস শেয়ার করবো আপনাদের সাথে ।ম্যাচিওরিটি হলো একজন মানুষের আচার আচরন, চিন্তা-ভাবনা কে নির্দেশ করে। এইগুলো সবগুলো র্নিভর করে ওই ব্যাক্তির গুনের ওপর।ম্যাচুরিটি একটি গুরুত্বপূর্ণ জীবনধারার পরিণতি যা প্রতিটি মানুষের জীবনে একটি বিশেষ ধাপ চিহ্নিত করে। এটি শুধুমাত্র বয়সের সাথে সম্পর্কিত নয়, বরং ব্যক্তিগত ও মানসিক বিকাশের সাথে সরাসরি জড়িত। ম্যাচুরিটির মাধ্যমে আমরা জীবনের নানা দিক বুঝতে শুরু করি, পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্ক পরিচালনা করতে সক্ষম হই এবং আমাদের সিদ্ধান্তগুলোতে পরিণাম ও দায়বদ্ধতা বুঝতে পারি।
ম্যাচুরিটি কেবল বাহ্যিক সাফল্যের প্রকাশ নয়, এটি অন্তরের গভীরতা এবং জীবনকে সঠিকভাবে মূল্যায়নের ক্ষমতা। এটি আমাদের শেখায় কিভাবে সমস্যার সমাধান করতে হয়, কিভাবে অপরের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করতে হয় এবং জীবনের আসল মূল্য উপলব্ধি করতে হয়। জীবন, সম্পর্ক, কাজ ও শিক্ষা – সবক্ষেত্রেই ম্যাচুরিটি আমাদের সাহায্য করে একাধারে দায়িত্বশীল এবং সচেতন হয়ে ওঠতে। চলুন আর দেরি না করে আমরা ম্যাচুরিটি নিয়ে স্ট্যাটাস গুলো দেখে আসি। অন্যকে পরিবর্তন করার চিন্তা বাদ দিয়ে নিজের প্রতি দৃষ্টি রেখে বাস্তব্ধর্মী সিদ্বান্ত গ্রহণ করার মাধ্যমে নিজের উন্নতি সাধন করা এবং পাশাপাশি সকলের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলাটাই হল প্রকৃত অর্থে ম্যাচুরিটি..আজকের পোষ্টে আমরা বাছাইকৃত ম্যাচুরিটি নিয়ে স্ট্যাটাস শেয়ার করবো।
ম্যাচুরিটি নিয়ে স্ট্যাটাস
************************
ম্যাচিওরড তারাই হয় যারা নিজের বড়াই নিজে করে না।
************************
ক্ষমা করতে পারা হলো ম্যাচিউরড বা পরিপক্ব হওয়ার অন্যতম একটি শর্ত ।
************************
নিজের দুঃখের কথা রাষ্ট্র করে মানুষের কাছে সমবেদনা পাওয়ার মনোভাব একপ্রকার ছেলেমানুষি । যে দিন থেকে ব্যক্তি নিজের কষ্ট ,নিজের দুঃখকে নিজেই সামলাতে পারবে সেদিন থেকে সে ম্যাচুউরড !!
************************
ভালোবাসার মানুষকে সর্বদা আঁকড়ে ধরে থাকলেই ভালোবাসা বাড়ে না বরং তা সময়ের ফেরে একঘেয়ে হয়ে যায়! ম্যাচিওরিটি সেটাই যখন দুজন দুজনাকে প্রয়োজনীয় স্পেস দিতে পারে; ভালোবাসাকে আরও উপভোগ্য করে তোলে!!
************************
ম্যাচুরিটি নিয়ে হোয়াটস্যাপ স্টেটাস ~ Bangla Whatsapp Status about Matureness
কেউ তোমার সাথে খারাপ ব্যবহার করছে; ক্ষতি করার চেষ্টা করছে .সে জন্য হঠাৎ করে রেগে না নিয়ে ; তার ওপর প্রতিশোধ স্পৃহা না জাগিয়ে হাসি মুখে এড়িয়ে যাওয়া এবং মাফ করার মনোভাব তোমার মধ্যে যে দিন তৈরি হবে সে দিন নিজেকে তুমি ম্যাচুউরড ~”জেনে রেখো”…
************************
” না “বলতে শেখা, যেটা তোমার জন্য খারাপ, তোমার যা পছন্দ নয় তা
শুধু মানিয়ে না নিয়ে ,নিজেকে কষ্ট না দিয়ে সুপরিকল্পিতভাবে নিজের বক্তব্যকে বলতে জানা টা ও ‘ম্যাচুউরিটি’।.
************************
প্রত্যেকটি কাজের পর যে ব্যক্তি নিজেকে মূল্যায়ন করার ক্ষমতা রাখে ; এবং ভুল হলে তা শুধরে নিতে জানে সে -ই প্রকৃত পরিপক্ব ব্যক্তি ।
************************
প্রশংসা তো সবার ই প্রিয় ..ক’ জন পারে সমালোচনা শুনতে ? তিনি ই প্রকৃত ম্যাচিউরড ব্যক্তি যিনি নিজের সম্পর্কে সমালোচনার দ্বারা নিজেকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারেন ।
************************
দেহের বয়স বাড়ে প্রাকৃতিক নিয়মে; আর মনের বয়স সাড়ে অভিজ্ঞতার কারণে…অভিজ্ঞতা থেকে মানুষ শিক্ষাপ্রাপ্ত করে যখন তার নিজের জীবনে প্রয়োগ করে সেটাই হলো আসল ম্যাচিউরিটি ।
************************
সংখ্যা, অর্থ, ক্ষমতার বিচারে হিসেব না করে আনুগত্যের দিক দিয়ে বন্ধুত্বের পরিমাপ যেদিন তুমি করতে পারে সেদিন তুমি প্রকৃত ই একজন ম্যাচিওরড ব্যক্তি হিসেবে সাব্যস্ত হবে।
************************
যখন তুমি বুঝবে, সব ভালোই তোমার জন্যে ভালো নয়।
যখনি তুমি, মানুষের ভিতর ইতিবাচক বৈশিষ্ট্য খুজে পাওয়া শুরু করবে ,
অন্যকে বিচার করার আগে নিজেকে বিচার করবে,
কথা কম বলে, আদর্শ শ্রোতা হবে,
সব পরিস্থিতিতে নিজের আবেগকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে,
সেদিন থেকেই জেনো তুমি পরিপক্ব ও তোমার মধ্যে এসেছে যথার্থ ম্যাচিউরিটি।
ম্যাচিওরিটি সম্পর্কে কিছু উক্তি
************************
যখনি বুঝবেন, আবেগী নয়, বাস্তববাদী হতে হয়।
বিশ্বাস করবেন ভাগ্যে নয়, পরিশ্রমই সফলতার আসল রহস্য।
যেদিন বুঝবেন , আপনি কারোর প্রিয়জন নাকি প্রয়োজন।
সেদিনই জানবেন আপনি ম্যাচিউরড একজন !!!
************************
বুদ্ধিমান ও ম্যাচিওরড ব্যক্তি তারাই হয় যারা বোঝে সম্মান পেতে হলে, আগে সম্মান দিতে হয়।
************************
সে বুঝেছিল আঘাতে নয়,ক্ষমায় লুকিয়ে থাকে সর্বশ্রেষ্ঠ শাস্তি;
বিশ্বাস করেছিল ভাগ্যে নয়, পরিশ্রমই সফলতার আসল রহস্য।
সে জীবনে করেছিল অনেক ভুল আর সেই ভুল থেকেই সে শিখেছে আর করেছে সংশোধন …
এখন সে এক ম্যাচিওরড পার্সন; সবার
প্রিয়জন ।
ম্যাচুরিটি নিয়ে স্ট্যাটাস
************************
যখন ই নিজেকে অন্যের সাথে তুলনা করা বন্ধ করবেন, অন্যকে পরিবর্তন করার আগে নিজেকে পরিবর্তন করতে সচেষ্ট হবেন ,
নিজের ধর্মকে অহেতুক তর্ক করে শ্রেষ্ঠ প্রমাণ করা অপেক্ষা গঠনমূলক সমালোচক হবেন ; যখন ই শিক্ষিত ও জ্ঞানী মানুষের মধ্যে আসল পার্থক্য বুঝতে পারবেন।
কিছু ভুল করলে, তা অকপটে স্বীকার করতে পারবেন;জানবেন আপনি ম্যাচিউরড হয়ে গেছেন।
************************
যখন কোনো ব্যক্তি “আমি সবসময় সঠিক , এই ধারণা বা মত পোষণ না করে নিজের ভুলগুলিকে সমালোচনা করে সেটিকে একান্তভাবে প্রতিহত করতে সচেষ্ট হন অথবা কারো বাহ্যিক অবস্থা দেখে বিচার না করে তার সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়ার পরেই তাকে বিচার করে ,তখনই বুঝে নিতে হবে তিনি ,’ ম্যাচিউরড”।
************************
মনে জন্ম নেওয়া বিপরীত চিন্তাভাবনা গুলোকে হাসিমুখে মেনে নেওয়ার নামই হলো ম্যাচিউরিটি বা পরিপক্কতা।
************************
ম্যাচুরিটি নিয়ে বাংলা ক্যাপশন ও লাইন
ব্যক্তি যখন কথা বলার চেয়ে শোনাটাকে বেশি প্রাধান্য দেন, তখন সে নিশ্চিতভাবে একজন পরিপক্ব ব্যক্তি।
************************
নিজের ক্রিয়াকলাপের জন্য দায়বদ্ধ থাকা, কারো ভুলত্রুটি নিয়ে সংবেদনশীল হওয়া এবং অন্যের প্রতি মনোযোগী হওয়ার চেষ্টা করা হল ম্যাচিওরিটি ।
************************
যে ব্যক্তি সুষমভাবে পরিবর্তন এবং পরিস্থিতির সাথে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে জানে, সেই ব্যক্তি ই হলেও প্রকৃত অর্থে পরিপক্ব বা ম্যাচিউরড।
************************
পরিপক্বতা বা ম্যাচিওরিটি বয়সের সাথে আসে না, জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে আসে এবং সেই অভিজ্ঞতা কতটা সদর্থকভাবে কাজে লাগতে সে পেরেছে সেটাই তার ম্যাচিউরিটির সঠিক মূল্যায়ন।
************************
ম্যাচিউরিটি বা পরিপক্বতার বয়সের সাথে কোন সরাসরি সম্পর্ক নেই। কোন ব্যাক্তি একটি নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে থাকে , পরিপক্কতার সম্পর্ক রয়েছে তারই সাথে।
************************
একজন ব্যক্তিকে তখনই আমরা ম্যাচিউরড বলি যখন সেই ব্যাক্তি যেকোনো পরিস্থিতিতে নিজেকে ধরে রাখতে পারেন এবং গুটিয়ে না গিয়ে তা থেকে বের হয়ে আসতে সক্ষম এবং তৎপর হন ।
************************
ম্যাচিওরিটি হল নিজের শক্তিকে যাচাই না করে তাকে অনুভব করা ; ম্যাচিওরিটি হ’ল নিজের ক্রিয়াকলাপের জন্য দায়বদ্ধ থাকা, কারো ভুলত্রুটি নিয়ে সংবেদনশীল হওয়া এবং অন্যের প্রতি মনোযোগী হওয়ার প্রচেষ্টা করা।
************************
মানুষ মাত্রই ভুল হয় আর সেই ভুল অকপটে স্বীকার করতে পারে যে ব্যক্তি সে ই প্রকৃত ম্যাচিউরড ব্যক্তি ।
************************
যে পরিমাণ একজন ব্যক্তি ব্যায় করেন তার অধিক পরিমাণে যেদিন সে সাশ্রয় করতে পারবে, তাহলে বুঝতে হবে সে পরিপক্ক হয়েছে।
************************
বয়স বাড়ার সাথে সাথে নিজের অভ্যন্তরীণ পরিবর্তন যিনি আনতে সক্ষম হন তিনিই প্রকৃত ম্যাচিউরড ব্যক্তি ।
************************
আমরা সেই মানুষকেই ম্যাচিউরড বলে বিবেচনা করি যারা প্রতিশ্রুতি দিয়ে কঠিন বিপদের সম্মুখীন হয়েও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ কখনো করতে পারেন না।
************************
যে ব্যক্তি কারো বাহ্যিক অবস্থা দেখে, তাকে পরখ বা তাকে বিচার করার প্রচেষ্টা না করে তার সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে তাকে বিচার করার চেষ্টা করেন, সে প্রকৃত অর্থেই পরিপক্ক এবং ব্যক্তিত্ববান।
নিজের স্বপ্নগুলো মেরে ফেলে পরিস্থিতিকে মুখ বুজে সহ্য করাই বোধ হয় ম্যাচুরিটি। কিছু মানুষের কাছে এটাই কঠিন বাস্তব।
ম্যাচিওরিটি সম্পর্কে কিছু উক্তি
************************
নেতিবাচক সবকিছুকে উপেক্ষা করে ‘ডোন্ট কেয়ার’ মুডে চলা,কে কি ভাবলো বা বলল ; সেগুলিকে গুরুত্ব না দিয়ে এগিয়ে চলাই হল পরিপক্কতা বা ম্যাচিউরিটি।
************************
জীবনে কে আসলো; কে গেলো তাতে অামল না দিয়ে কষ্ট না পাওয়াই হল প্রকৃত ম্যাচিউরিটি।
************************
দেহের নয়; মনের বয়স যখন বাড়ে তখনই আসে আসল ম্যাচিউরিটি, কষ্ট পেলে লুকিয়ে সিগারেটের ধোঁয়ায় কষ্টকে উড়ানো; সে তো দুঃখ বিলাসিতা; পরিপক্কতা নয় !!
************************
যেদিন সন্তানের চিন্তায় মায়ের ঘুম নষ্ট হবে না, বরং সেই সন্তানই চিন্তা করবে যে তার মা ঘুমিয়েছে কিনা; মা নিজের যত্ন নিচ্ছে কিনা; ম্যাচিউরিটি তখন থেকেই তৈরি হয়।
************************
খারাপ লাগলেও খুশি মনে তা মেনে নেওয়া; সামনের লোকটিকে বুঝতে না দেওয়া নিজের খারাপ লাগাটাকে…সেই সূক্ষ্ম চেতনা ই মানুষকে ম্যাচিওরড করে তোলে।
************************
ম্যাচিউরিটি বা পরিপক্বতা আসে অভিজ্ঞতা অর্জন করার সাথে সাথে; শুধুমাত্র বয়সের সাথে নয় ।
************************
ম্যাচুরিটি স্ট্যাটাস সম্পর্কে কিছু কথা
ম্যাচিউরিটি পরিমাপের আরেকটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চাবিকাঠি হল ধৈর্য ধারণ করার ক্ষমতা; যার এ ক্ষমতা যত বেশি সে তত বেশি পরিপক্ক ,কারণ ধৈর্য ধারণ না করে কেউ কোন কাজই সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারে না যা কিনা জ্ঞানের থেকে ও অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
************************
যিনি নিজেকে সঠিক ভাবে বিচার করতে পারেন,
ছোট এবং বড় নির্বিশেষে সবার সাথে উপযুক্ত ব্যবহার করতে পারেন,
নিজের কথা এবং কাজ দ্বারা অন্য কেউ কষ্ট পাচ্ছে কি না তা বিবেচনা করে চলতে পারেন;
~~এরূপ বৈশিষ্ট্য যার মধ্যে আছে সেই তো প্রকৃত অর্থে ম্যাচিউরড !!
************************
যে মুহুর্তে কেউ নিজেকে মানিয়ে নিতে শিখে যায়, নিজের আবেগ কে নিজের বসে আনতে পারে, নিজে কেঁদে অন্যকে হাসানোর ক্ষমতা রাখতে পারে তখনই সে সঠিক অর্থে ম্যাচিউরড।
************************
শেষকথা
ম্যাচুরিটি একটি চলমান প্রক্রিয়া যা কোনো নির্দিষ্ট বয়সে শেষ হয় না। এটি প্রতিনিয়ত আমাদের জীবনের অভিজ্ঞতা, শিক্ষা এবং পারস্পরিক সম্পর্কের মাধ্যমে বিকশিত হয়। এই প্রক্রিয়ায় আমরা যেমন নিজেদের দুর্বলতা এবং শক্তি বুঝতে পারি, তেমনি আমরা সমাজের প্রতি আমাদের দায়িত্বও অনুধাবন করতে পারি।ম্যাচুরিটি অর্জন করার জন্য আমাদের উচিত জীবনকে গভীরভাবে উপলব্ধি করা, সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং সব পরিস্থিতিতে শান্ত ও পরিণত মনোভাব রাখা।
এটি আমাদের কেবল ব্যক্তি হিসেবে উন্নতি করতে সহায়তা করে না, বরং আমাদের চারপাশের পৃথিবীকে ভালোভাবে বুঝতে এবং সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে তুলতেও সাহায্য করে।ম্যাচুরিটি অর্জন একটি নিরবচ্ছিন্ন যাত্রা যা আমাদের জীবনের প্রতিটি স্তরে আমাদের সঠিক পথনির্দেশ দেয় এবং আমাদেরকে এক শক্তিশালী ও পূর্ণাঙ্গ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে। আজকের ম্যাচুরিটি নিয়ে স্ট্যাটাস আর্টিকেলটি আপনাদের কেমন লেগেছে তা আমাদেরকে কমেন্ট করে জানান। আজকের পোষ্টটি আপনার বন্ধুদের শেয়ার করে দিন। এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। এই ধরনের পোষ্ট পেতে নিয়মিত আমাদের সাইটটি ভিজিট করুন ।
Disclaimer: We do not guarantee that the information of this page is 100% accurate and up to date.